শুধু দেশের ভেতরে নয় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সম্ভাবনা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান। তিনি মনে করেন বিশ্বের যেকোন দেশের চেয়ে বিনিয়োগ উপযোগী বাংলাদেশের পুঁজিবাজার।
তবে ২০১০ কিংবা ১৯৯৬ সালের কেলেংকারির ঘটনার যেনো পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য মনিটরিং ব্যবস্থাকে শক্তিশালি করা হয়েছে বলেও দাবি তার।
করোনা মহামারি যখন অচল করে দিয়েছে পুরো বিশ্বের অর্থনীতি তখন খাদের কিনারে পুঁজিবাজারও। ভয় কিংবা আতঙ্কে টানা পতন হয়েছে প্রায় সব শেয়ারের। ঢাকার বাজারে এক পর্যায়ে লেনদেন নেমে আসে ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকায়। বাধ্য হয়ে প্রতিটি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইজ বা সর্বনিম্ন দর বেধে দেয় নিংয়ন্ত্রকারি সংস্থা বিএসইসি। তারপরও কাজ না হওয়ায় লেনদেন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
জটিল এই সময়ে পুঁজিবাজারের হাল ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম। যোগদানের পর থেকে ইতিবাচক কিছু সিদ্ধান্তে ঘুড়ে দাড়াতে শুরু করে পুঁজিবাজার।
সেই সময়ের ৬০/৭০ কোটি টাকার লেনদেন বর্তমানে ছাড়িয়েছে হাজার কোটির ঘর। ডিএসইর প্রধান সূচকও চার হাজারের নিচ থেকে উঠে এসেছে সাড়ে পাঁচ হাজারের ঘরে। পাশাপাশি বাজার মূলধন প্রায় পৌনে দু্ই লক্ষ কোটি টাকা বেড়ে দাড়িয়েছে প্রায় ৫ লাখ কোটিতে। সেই বাজারকে এখন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে কমিশন।
তার আশ্বাস পুঁজিবাজার নিয়ে কেউ এখন বড় রকমের কারসাজি করতে পারবেনা। সবকিছু ঠিক থাকলে কয়েক বছরের মধ্যে পুঁজিবাজার বিনিয়োগের সবচেয়ে ভালো জায়গা হবে বলেও দাবি তার।